শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

অনুগল্প : কৃষ্ণেন্দু দাস ঠাকুর

বাঁশি বাজছে। গাছের পাতাগুলো ক্রমশ টানটান হয়ে যাচ্ছে। নদীর জল স্থির। বহু কষ্টে জোগাড় করা পাখির মুখে খড়-কুটো মাটিতে পড়ে যাচ্ছে । 
"তুমি তো দারুণ বাঁশি বাজাও। আহা! এত সুর বাঁশিতে! সত্যি শুনে মনটা উদাস হয়ে যায়। মনে হয়--- এ-জগৎ, এ-সংসার সবই মিথ্যা।"

অপুর কানে সেসব কিছুই ঢোকে না। ও গাছে হেলান দেয়, আবার চোখ বন্ধ করে, বাঁশিতে ফুঁ দেয়। একটা, একটা করে বাঁশির ফুটোয় হাত দেয়, আবার ছাড়ে এক অনাবিল স্বর্গীয় সুর ওঠে--- বাবা-মার শরীর খিদের জ্বালায় টানটান হয়ে যাচ্ছে। ভাতের জল ফুটতে ফুটতে একসময় গভীর রাতের মতো স্থির হয়ে যাচ্ছে। খড়ের অভাবে ঘর থেকে মাটি গলে গলে পড়ছে। 

"তোর মতো যদি বাজাতে পারতাম। শিখিয়ে দিবি আমায় কোন ফুটোতে কি সুর বাজে...?"