জুলাই সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জুলাই সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯
এ মাসের কবি
কুনাল গোস্বামী
জন্ম:- ২২শে এপ্রিল ১৯৯৩,
বাসস্থান:- আমতলা(দক্ষিণ ২৪ পরগনা)
পেশা:- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
প্রথম লেখা প্রকাশ 'অক্ষর সংলাপ পত্রিকায়'
বিভিন্ন পত্রিকা এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় তার কবিতা।
উল্লেখযোগ্য - অক্ষর সংলাপ,শব্দসাঁকো,শব্দসিঁড়ি,
কচিপাতা,কবিতাকুটির,টার্মিনাস পত্রিকা প্রভৃতি।
এছাড়াও সোনারপুর আত্মীয়সভা এবং শব্দসিঁড়ি পত্রিকার তরফ থেকে "কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য" সাহিত্য সম্মানে সম্মানিত হয়েছি।
বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য মনে প্রাণে ভালোবাসি,আর এই ভালোবাসা থেকেই আমার লেখালেখির পথের সূচনা।
জন্ম:- ২২শে এপ্রিল ১৯৯৩,
বাসস্থান:- আমতলা(দক্ষিণ ২৪ পরগনা)
পেশা:- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
প্রথম লেখা প্রকাশ 'অক্ষর সংলাপ পত্রিকায়'
বিভিন্ন পত্রিকা এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় তার কবিতা।
উল্লেখযোগ্য - অক্ষর সংলাপ,শব্দসাঁকো,শব্দসিঁড়ি,
কচিপাতা,কবিতাকুটির,টার্মিনাস পত্রিকা প্রভৃতি।
এছাড়াও সোনারপুর আত্মীয়সভা এবং শব্দসিঁড়ি পত্রিকার তরফ থেকে "কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য" সাহিত্য সম্মানে সম্মানিত হয়েছি।
বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য মনে প্রাণে ভালোবাসি,আর এই ভালোবাসা থেকেই আমার লেখালেখির পথের সূচনা।
কবিতাগুচ্ছ:- বনধ্ মুঠঠিমে দুনিয়া
সুপ্রীতি বর্মন
ছয়লাপ পদ্যের চূর্ন অক্ষরে কথার বাঁকে চুরমার ঐকান্তিক প্রেমালাপ।
পিছছুট অতীত এখন হাতের মুঠোয় প্রজন্মের সাবলীল হাঁটাহাটি।
আত্মসর্বস্ব নিজেতে বিভোর ছোট্ট দুনিয়া,অন্তরঙ্গ মুহূর্ত প্রিয়া তোমার আমার
পিছছুট অতীত এখন হাতের মুঠোয় প্রজন্মের সাবলীল হাঁটাহাটি।
আত্মসর্বস্ব নিজেতে বিভোর ছোট্ট দুনিয়া,অন্তরঙ্গ মুহূর্ত প্রিয়া তোমার আমার
সেলফির স্বর্ণালী মুহূর্তের বিবশ ছবিটি সাক্ষী রেখে মনের ঘরে খিল আঁটি।।
আইবুড়ো গন্ধে চুইংগাম কর্ণলতিতে প্রিয়ার সহবাস যাপন ক্ষুধায় দিনরাত্রি।
দিনরাত কাঙালীপনা হাবিজাবি শুনতে থেকে উন্মুখ সোহাগ উসপার,,,
নিদ্রাহীন ঘোরলাগা চোখে অনিন্দ্য পুরুষ জোনাক সাক্ষী, কলকল ইচ্ছানদীর অনুরণনে,,,
আইবুড়ো গন্ধে চুইংগাম কর্ণলতিতে প্রিয়ার সহবাস যাপন ক্ষুধায় দিনরাত্রি।
দিনরাত কাঙালীপনা হাবিজাবি শুনতে থেকে উন্মুখ সোহাগ উসপার,,,
নিদ্রাহীন ঘোরলাগা চোখে অনিন্দ্য পুরুষ জোনাক সাক্ষী, কলকল ইচ্ছানদীর অনুরণনে,,,
ইচ্ছার পবিত্র আঁচে নরম শরীরের গন্ধে অজানা দৌড় আখমিচালী।।
বিন্দুর মধ্যে সিন্ধু ঝটকা মারে মাসমাইনের সঞ্চিত অর্থে রিচার্জ হেল্পলাইন টকটাইম।।
পুনঃপুনঃ যান্ত্রিক বৈকল্য মাথার মধ্যে অসমাপ্ত ভিটের দেনার ফাঁদ অবাধ্য স্নায়ু
দুঃশ্চিন্তার আগরবাতি তখন পুড়ে খাক আমরণ যেন যৌবন প্রাপ্তি বিনা গাঁটছড়া।।
ফ্যায়দা নিচ্ছি পেগে ভ্রান্ত হয়ে সিগারেট বিবি তোমাকে ওষ্ঠে গুঁজে ব্যাচেলর আমি,,,
একহাতে স্টিয়ারিং আর কানে ক্যানভাসের নৈঃশব্দ্য শিখার প্রতিচ্ছবির আঘাজ বাণী(হিন্দী শব্দ)
জ্ঞানহীন তখন বৃন্দাবন অন্যমনস্কতার ক্ষতবিক্ষত, রূক্ষ আমন্ত্রনলিপি,,,
দিন প্রতিদিন দুর্ঘটনা, শ্বাসরুদ্ধ এখন আইনি কার্যকলাপ,
দিন প্রতিদিন দুর্ঘটনা, শ্বাসরুদ্ধ এখন আইনি কার্যকলাপ,
প্যাঁচালো অজগর,গুহ্য অভ্যন্তরে প্রমাদ কি হয় কি হয়
আইনি লাইসেন্স ছাড়া পগার পার কি করে হবে,
আইনি লাইসেন্স ছাড়া পগার পার কি করে হবে,
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে হবে নিরুদ্দেশ।
তাই সাবধান হে পথিক সাবধান
কামমুগ্ধ চোখে হেরো আপন ঘরনী
কিন্তু জলছোঁয়া সিঁড়িটি ব্যতিরেকে
দ্রিমি দ্রিমি দিনে দুপুরে মাদলের বোল, বক্ষবন্ধনীর সুরে রিংটোন
ঝুড়ি ঝুড়ি বস্তাপচা সিডি ও ডিভিডি এখন,
আটপৌরে শাড়ি কন্যাকুমারী বাক্সবন্দী।।
তাই সাবধান হে পথিক সাবধান
কামমুগ্ধ চোখে হেরো আপন ঘরনী
কিন্তু জলছোঁয়া সিঁড়িটি ব্যতিরেকে
দ্রিমি দ্রিমি দিনে দুপুরে মাদলের বোল, বক্ষবন্ধনীর সুরে রিংটোন
ঝুড়ি ঝুড়ি বস্তাপচা সিডি ও ডিভিডি এখন,
আটপৌরে শাড়ি কন্যাকুমারী বাক্সবন্দী।।
জাগরী
রমলা মুখার্জী
জীবনে অনেক সুখ তো পেয়েছো,
একটু না হয় দুখেতে সাজল;
হৃদয়ে অনেক সুর তো তুলেছো,
একটু না হয় বেসুর বাজল।
জীবন অনেক আলোতে ভরেছো,
একটু না হয় আঁধার মাখল,
মনে-বনে শত ফুল তো ফুটেছে,
একটু না হয় কাঁটাই থাকল!
জীবন অনেক গড়ার পরেতে
একটু না হয় ভেঙেই পড়ল,
জীবনের চড়াই-উৎড়াই মাঝে
মুখের থেকে মুখোশ সরল।
জীবন অনেক হাসিতে ভরেছো
একটু না হয় কান্না থাকল,
কান্না-হাসির দোল-দোলাতেই
জীবন পথের পথিক জাগল।
একটু না হয় দুখেতে সাজল;
হৃদয়ে অনেক সুর তো তুলেছো,
একটু না হয় বেসুর বাজল।
জীবন অনেক আলোতে ভরেছো,
একটু না হয় আঁধার মাখল,
মনে-বনে শত ফুল তো ফুটেছে,
একটু না হয় কাঁটাই থাকল!
জীবন অনেক গড়ার পরেতে
একটু না হয় ভেঙেই পড়ল,
জীবনের চড়াই-উৎড়াই মাঝে
মুখের থেকে মুখোশ সরল।
জীবন অনেক হাসিতে ভরেছো
একটু না হয় কান্না থাকল,
কান্না-হাসির দোল-দোলাতেই
জীবন পথের পথিক জাগল।
প্রতিষেধক
চিরঞ্জিত ভান্ডারী
খামটি মেরে ঝোপের ভেতর দুর্বিনীত কৌশল
অন্তরাল থেকে তীক্ষ্ণ তীরে
পলকে করে লক্ষ্যভেদ।
নির্মম ক্ষত দাগে উপশম লাগাই
বিস্মৃতির তলে বিসর্জন দি যন্ত্রণার ইতিহাস।
বুক সহনশীলা নদী হলেও
কতক্ষণ বা বইতে পারে কলার মান্দাস!
ক্ষতদাগ ঘাসের মত বাড়ে তির তির
ক্যানসারের প্রতিরোধ ছাড়া
প্রতিষেধক নেই।
অন্তরাল থেকে তীক্ষ্ণ তীরে
পলকে করে লক্ষ্যভেদ।
নির্মম ক্ষত দাগে উপশম লাগাই
বিস্মৃতির তলে বিসর্জন দি যন্ত্রণার ইতিহাস।
বুক সহনশীলা নদী হলেও
কতক্ষণ বা বইতে পারে কলার মান্দাস!
ক্ষতদাগ ঘাসের মত বাড়ে তির তির
ক্যানসারের প্রতিরোধ ছাড়া
প্রতিষেধক নেই।
বোহেমিয়ান
শম্পা বিশ্বাস
বোহেমিয়ান ছুটে বেড়ায়
দিগন্তের দিকে একটি কুঁড়ে ঘর
মাত্র দুটি বাহু সম্বল তার
তার ভেতরে ধরে যায়
একগ্লাস ঠান্ডাজল ঠান্ডাজল
আকন্ঠ জুড়িয়ে যায়
আতর যে অাছে তারও
তাতে খুব ধুলো ততদিনে
ঝেড়ে দিলে খুসবু ছড়াবে দিনেদিনে
খুসবু রঙের ফুল
বাগিচায় কতো কিছু করছে ভ্রমণ
জীবন - জীবনগুল
আকাশ রাগ দেখালে চাতক হবে জল
আকাশে দশহরা
পৃথিবী ভর্তি তখন
তার মাথায় দুর্লভ নাগমণি ।
দিগন্তের দিকে একটি কুঁড়ে ঘর
মাত্র দুটি বাহু সম্বল তার
তার ভেতরে ধরে যায়
একগ্লাস ঠান্ডাজল ঠান্ডাজল
আকন্ঠ জুড়িয়ে যায়
আতর যে অাছে তারও
তাতে খুব ধুলো ততদিনে
ঝেড়ে দিলে খুসবু ছড়াবে দিনেদিনে
খুসবু রঙের ফুল
বাগিচায় কতো কিছু করছে ভ্রমণ
জীবন - জীবনগুল
আকাশ রাগ দেখালে চাতক হবে জল
আকাশে দশহরা
পৃথিবী ভর্তি তখন
তার মাথায় দুর্লভ নাগমণি ।
অন্ধকারে তুমি
বিমল মণ্ডল
বিমল মণ্ডল
অন্ধকারে ঠিক চিনতে পারিনি তোমায়
যা আমার শরীরের সমস্ত রঙ শুষেনিয়েছিলে
আমি তোমার শরীরের ক্ষত বুঝতে পারিনি
শুধু সংগ্রহ করেছি ভালোবাসা
তোমায় চিনতে পারিনি অন্ধকারে
তুমিও চিনতে পারোনি আমাকে
কেননা গাছেরা চিনেছে আমাকে
অন্ধকারে তুমি আমায় ফেলে যেওনা
আমি তোমাকে ঘিরে নতুন আলোতে বিভোর
অন্ধকারে তুমি আমায় চিনে নাও।
যা আমার শরীরের সমস্ত রঙ শুষেনিয়েছিলে
আমি তোমার শরীরের ক্ষত বুঝতে পারিনি
শুধু সংগ্রহ করেছি ভালোবাসা
তোমায় চিনতে পারিনি অন্ধকারে
তুমিও চিনতে পারোনি আমাকে
কেননা গাছেরা চিনেছে আমাকে
অন্ধকারে তুমি আমায় ফেলে যেওনা
আমি তোমাকে ঘিরে নতুন আলোতে বিভোর
অন্ধকারে তুমি আমায় চিনে নাও।
বৃষ্টি ভেজা পাতা
আব্দুর রহমান
বৃষ্টি ভেজা পাতা থেকে ঝরে পড়ে
জীবনের টুকরো টুকরো ছবি
হৃদয়ে থাকা বিবশ ছবিরা
ঝরে পড়ে হারিয়ে ইচ্ছার ফোঁটা মৃত্যু
আজও আকাশে মেঘ তারা
অনেক অনেক পথ বেয়ে
রেখেছে জীবনের ছায়াপথের ফসিল
বৃষ্টি চূর্ণ ফোঁটারা হৃদয় যেন ভাঙা কুচি
বৃষ্টি ধোয়া স্নাত মন তবুও
একটা আবেশ নতুন দেখার ইচ্ছা
জন্ম দেয়
আকাশের নব নির্মাণের ছায়াবৃত্তে
জীবনের টুকরো টুকরো ছবি
হৃদয়ে থাকা বিবশ ছবিরা
ঝরে পড়ে হারিয়ে ইচ্ছার ফোঁটা মৃত্যু
আজও আকাশে মেঘ তারা
অনেক অনেক পথ বেয়ে
রেখেছে জীবনের ছায়াপথের ফসিল
বৃষ্টি চূর্ণ ফোঁটারা হৃদয় যেন ভাঙা কুচি
বৃষ্টি ধোয়া স্নাত মন তবুও
একটা আবেশ নতুন দেখার ইচ্ছা
জন্ম দেয়
আকাশের নব নির্মাণের ছায়াবৃত্তে
তফাৎ যাও
পারমিতা ভট্টাচার্য্য
তর্জনী তুলো না তুমি,ওটা তোমায় মানায় না।
ঐ আঙ্গুলে গাঢ় ট্রিগারের দাগ,
মনের দগদগে ঘা কে আরও খুঁচিয়ে তোলে।
পুঁজ - রক্ত মাখা দুঃসময়,
বায়বীয় স্মৃতি হয়ে চেপে ধরে
আমার কলার,একটা অদৃশ্য তর্জনী
তখন মসকরা করে আমার অস্তিত্ব নিয়ে।
পাশবিক হাত আজ বয়ে নিয়ে চলে
জাতির পতাকা,শূন্য দৃষ্টিতে ,
কানে আসে শুধুই সাইরেনের উদ্ধত আওয়াজ
যেন হুঁশিয়ারি দেয় একটাই.......
"তফাৎ যাও,তফাৎ যাও।"
ঐ আঙ্গুলে গাঢ় ট্রিগারের দাগ,
মনের দগদগে ঘা কে আরও খুঁচিয়ে তোলে।
পুঁজ - রক্ত মাখা দুঃসময়,
বায়বীয় স্মৃতি হয়ে চেপে ধরে
আমার কলার,একটা অদৃশ্য তর্জনী
তখন মসকরা করে আমার অস্তিত্ব নিয়ে।
পাশবিক হাত আজ বয়ে নিয়ে চলে
জাতির পতাকা,শূন্য দৃষ্টিতে ,
কানে আসে শুধুই সাইরেনের উদ্ধত আওয়াজ
যেন হুঁশিয়ারি দেয় একটাই.......
"তফাৎ যাও,তফাৎ যাও।"
সাড়ে তিন হাত জমি
সহানুভূতি কাম্য ছিল না কখনোই,
অনুভূতিরা তাই সূক্ষ্ম আচ্ছাদন
ভেদ করে,স্ফুলিঙ্গের মত প্রকাশিত হতে চায়।
জীবনে হিসেবী হতেই হবে তার কোনো মানে নেই,
দুয়ে - দুয়ে চার যদি নাই হয়!!
তবে কি স্তব্ধ হয়ে যাবে জীবনের গতি?
হিসেবেও ভুল হয় মাঝে মাঝে
একটু বেহিসেবী হলে ক্ষতি কী?
সারা জীবন জুড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকে হিসেবী দস্তখত,
কিন্তু আমাদের বরাদ্দ জমি তো সেই, সাড়ে তিন হাত।
অনুভূতিরা তাই সূক্ষ্ম আচ্ছাদন
ভেদ করে,স্ফুলিঙ্গের মত প্রকাশিত হতে চায়।
জীবনে হিসেবী হতেই হবে তার কোনো মানে নেই,
দুয়ে - দুয়ে চার যদি নাই হয়!!
তবে কি স্তব্ধ হয়ে যাবে জীবনের গতি?
হিসেবেও ভুল হয় মাঝে মাঝে
একটু বেহিসেবী হলে ক্ষতি কী?
সারা জীবন জুড়ে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকে হিসেবী দস্তখত,
কিন্তু আমাদের বরাদ্দ জমি তো সেই, সাড়ে তিন হাত।
প্রত্যাশা.....
অনুপম পাঠক
যদিও আমি বলে যাই, আমার এই প্রেমিক হৃদয়' -
তোমাকে ফুলের দেশের নিয়ে যাব বলেছিল, একদিন ...
তবুও, কি পেয়েছ আমায় ভালবেসে ?
শুধু পরিচয় টুকু পেয়ে মায়ায় জড়িয়েছ নিজেকে
- প্রতিশ্রুতি আর মিথ্যে বাগদানে।
জানি, একদিন তুমি সংসারই প্রত্যাশা করেছিলে
যার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারিনি বলে,
মৃত কঙ্কালে সঞ্জিবনী
তোমাকে ফুলের দেশের নিয়ে যাব বলেছিল, একদিন ...
তবুও, কি পেয়েছ আমায় ভালবেসে ?
শুধু পরিচয় টুকু পেয়ে মায়ায় জড়িয়েছ নিজেকে
- প্রতিশ্রুতি আর মিথ্যে বাগদানে।
জানি, একদিন তুমি সংসারই প্রত্যাশা করেছিলে
যার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারিনি বলে,
মৃত কঙ্কালে সঞ্জিবনী
- আজও জমিয়ে রেখেছ অক্ষত ভাবে।
যে গভীর রাস্তা তুমি খুঁজে চলেছ
সেই রাস্তার প্রাণে কত জন্মের যন্ত্রণা
লেখা আছে তোমার পথিকৃত ইতিহাসে ।
যে গভীর রাস্তা তুমি খুঁজে চলেছ
সেই রাস্তার প্রাণে কত জন্মের যন্ত্রণা
লেখা আছে তোমার পথিকৃত ইতিহাসে ।
-: অনুগল্প :-
আইটেম বোম
সিদ্ধার্থ সিংহ
হিন্দি সিনেমার আইটেম গার্ল। একেবারে ঝাক্কাস মেয়ে। ওয়ার্ল্ড ট্যুরে বেরোচ্ছেন। সুইজারল্যান্ডের সব চেয়ে বড় স্টেডিয়ামে তাঁর শো। লাইফ টেলিকাস্ট হবে চ্যানেল টু চ্যানেল। সারা পৃথিবী জুড়ে। তবু টিকিটের জন্য দাঙ্গা বেঁধে গেছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ওই দিনের জন্য স্পেশাল ফ্লাইট দিচ্ছে। লোকে বলে, ডাক্তাররা নাকি এখন আর কাউকে ভায়াগ্রা প্রেসক্রাইব করেন না। বলেন, ওঁর নাচ দেখুন, তা হলেই হবে।
সব ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হল, ওই শোয়ে কী পরবেন তিনি! এমন পোশাক চাই, যাতে তাঁর সমস্ত রেকর্ড ব্রেক করে যায়। উনি কল করলেন পৃথিবীখ্যাত এক ডিজাইনারকে। একটা ছোট্ট লেডিজ রুমাল দিয়ে বললেন, আমাকে এটা ড্রেস বানিয়ে দিন।
ডিজাইনার গালে হাত দিয়ে বসে পড়লেন। ভাবছেন আর ভাবছেন। মনে মনে কত কিছু কাট-ছাঁট করছেন। তাঁকে অত চিন্তাভাবনা করতে দেখে আইটেম গার্ল বললেন, কী হল? এতে হবে না?
ডিজাইনার বললেন, না না, হবে না কেন? হবে হবে। আমি ভাবছি, যে কাপড়টা বাঁচবে, সেটা দিয়ে কী বানাব!
সব ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হল, ওই শোয়ে কী পরবেন তিনি! এমন পোশাক চাই, যাতে তাঁর সমস্ত রেকর্ড ব্রেক করে যায়। উনি কল করলেন পৃথিবীখ্যাত এক ডিজাইনারকে। একটা ছোট্ট লেডিজ রুমাল দিয়ে বললেন, আমাকে এটা ড্রেস বানিয়ে দিন।
ডিজাইনার গালে হাত দিয়ে বসে পড়লেন। ভাবছেন আর ভাবছেন। মনে মনে কত কিছু কাট-ছাঁট করছেন। তাঁকে অত চিন্তাভাবনা করতে দেখে আইটেম গার্ল বললেন, কী হল? এতে হবে না?
ডিজাইনার বললেন, না না, হবে না কেন? হবে হবে। আমি ভাবছি, যে কাপড়টা বাঁচবে, সেটা দিয়ে কী বানাব!
-:অনুগল্প:-
দুই প্রকৃতি
কৃপান মিত্র
রথিনবাবু কোমায় পড়েছিলেন প্রায় দুবছর।
যখন জ্ঞান হল কাউকেও চিনতে পারেন না।
ঘোলা চোখে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মুখ ঘুরিয়ে নেন। রথিনবাবুর স্ত্রী এক একজনকে কাছে এনে পরিচয় করিয়ে দেন।ঘোলা চোখের কোণ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে।
রথিনবাবুর ভরা সংসার।স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে সায়না। মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক কর্য হয়েছিল তাঁর ।বসতবাটি টাও বন্ধক রাখতে হয়েছিল। এই সমস্ত চিন্তা দিনের চব্বিশ ঘন্টা তাকে কুরে কুরে খেত ।
একদিন বাথরুমে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলেন তিনি। সেই থেকে কোমায়। রথীনবাবু ঘোলা চোখে তাঁর ঘরটা দেখছেন ।দেখছেন জানালার ফাঁক থেকে বাইরের প্রকৃতিকে। লেংটা গাছে কচি পাতা ধরেছে ।মাচায় লাউ ফুল দেখা যাচ্ছে ।গাঁদা ফুলের আভিজাত্য তখনও অমলিন।শালিকের ঝগড়া কান না পাতলেও দিব্যি শোনা যাচ্ছে।বসন্তদূত একটানা
ডেকেই চলেছে। সময়টা তাহলে কিছু নয়।
ডেকেই চলেছে। সময়টা তাহলে কিছু নয়।
রথীন বাবু ঘাড় তুলে ওঠার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী তাকে যত্ন করে ডবল পাশ বালিশে বসালেন। রথিনবাবু ভাল করে বাইরটা দেখে বললেন ,তাহলে কিছুই বদলায়নি । দুই প্রকৃতি এক ডোরে বাঁধা।
বাকি কথাটা বলতে পারলেন না তিনি।তাঁর চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা জল গাল গড়িয়ে নিচে পড়লো।
-:অনুগল্প:-
স্কুল আমার প্রথম দিন
আনজারুল মোল্লা
আমি যখন শিশু , মায়ের কোল ছেড়ে একদিন দিদিমনির কাছে গেলাম শিশু শ্রেণীতে পড়ার জন্য। সেদিন মনে ছিল ভীষণ ভয়। কি যেন মনে হচ্ছিল !দিদিমণি আমাকে বকবেন নাকি মারবেন এইসব ভাবনা।কিন্তু আমি যখন শিশু শ্রেণী বা আই সি ডি এস ই পড়তে গেলাম দিদিমণি কত সুন্দর ভাবে আমাদের ছড়া বললেন শিখালেন পোড়ালেন। আমাদের কে আদর করে বোঝালেন সেদিন আর কোন ভয় ছিল না।
দিদিমণি আমাদের সাথে নাচতে লাগলো আর ছড়া বলতে লাগলো আমি কি যে খুশি হলাম তখন ভয় কোন দিকে চলে গেল। বাড়িতে এসে মাকে বললাম খুব খুশি হয়ে আমার এই কথা শুনে মা খুবই খুশি হলেন। তখন থেকে আমি আর কোন দিন স্কুলে যেতে ভয় করতাম না ভয় জিনিস ছিল না আমার মনের মধ্যে শুধুমাত্র ছিল দিদিমনির প্রতি আর স্কুলের প্রতি আমার ভালোবাসা ফুর্তি আনন্দ। শুধু হৃদয় জুড়ে ছিল আনন্দ আর আনন্দ। স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলা করতাম। সে ছিল বড় সুখের দিন।
ক্রমে ছয় বছর ছাড়িয়ে গেলাম। এবার ভর্তি হলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম দিনে ভীতু ভীতু অবস্থায় স্কুলে গেলাম। মাস্টার মশাই ক্লাসে ঢুকলেন এবং আমাদেরকে পোড়াতে লাগলেন। আমরা মাস্টার মশাই এর সাথে পড়তে লাগলাম। আমাকে পড়া জিজ্ঞাসা করলেন মাস্টার মশাই আমি চট করে বলে ফেললাম। মাস্টারমশাই খুশি হয়ে আমার মাথায় হাত বুলালেন আর বললেন খুব ভালো করে পড়াশোনা করো অবশ্যই একদিন তুমি ভালো হবে। সেই কথা আমার আজও মনে আছে।
-:অনুগল্প:-
একাকীত্ব
রানা চ্যাটার্জী
একাকীত্ব আজ প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে আপন মহিমায় বিরাজমান । আধুনিক জীবনযাত্রার সাথে ঘুণপোকার বাসার মতোই অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে একাকীত্ব। ব্যস্ত জীবনে বেড়েছে মোলাকাৎ, হই হুল্লোড় , গেট টুগেদার তবুও একাকীত্বের নখর আঁচড় বসাচ্ছে,গহন মনে, বাহ্যিক আচরণে ।
আপনজনের সাথেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে সংসার জীবন তবু যেনো একটা শূন্যতা ।বড্ড ব্যস্ত জীবনে একাকীত্বের চতুর থাবা । একাকীত্বকে নির্মূল করতে, আমরা নিজেদের ব্যস্ত রাখার শত শত চেস্টাও করি, একাকীত্বের অন্যতম দোসর অবসাদ কে ভুলতে কতো রকম ভাবে নিজেদের ব্যস্ত রাখার প্রচেস্টা । যে ছেলে বা মেয়েটি সারাদিনের ব্যস্ততা, পড়াশোনা কিংবা কর্মক্ষেত্রের চাপের মধ্যে মুখ গুঁজে কাজ করে চলেছে , কত দেশ বিদেশের মানুষের সাথে ইন্টারনেটে কথোপোথন । কিন্তু যে মুহূর্তে সে একদম একাকী হয়ে নিজের সঙ্গ দেয় , অল্পেই অধৈর্য্য হয়ে ওঠে , সময় কাটতে চায়না,চিন্তা কেড়ে নেয় ঘুম ,এক রাশ অবসন্নতার পাহাড় জমে।
একঘেঁয়েমি জীবনে মানিয়ে চলতে চলতে কখন যে, আমরা রোবট হয়ে পড়ি খেয়াল থাকে না । পুতুল দের মতো আচার আচরণ করি এই বিরাট পৃথিবীর নাট্য মঞ্চে । আমরা স্রোতে ভেসে ভেসে চলছি , পরিমিত হাসি , পরিমিত খাওয়া ,অভ্যাসে রপ্ত মানব কুলের দৈনন্দিন জীবন ধারণ একাকীত্বের ভেলায় চড়ে ।
কত হারিয়ে গেছে সে সব খেলা , পিঠের ভারী ব্যাগ আর ইস্কুলের দৈত্যাকার সিলেবাসের কল্যাণে । জানালার গরাদ ধরে জুল জুল চোখে বাচ্ছা , ফ্লাটের খাঁচা বারান্দা থেকে নিজের লোক জন , গাড়ির গতিময়তা নচেৎ টেলিভিশনে সিনচেন , নবিতা , মোটু পাতলুর চওড়া মুখের হাসি দেখে বড়ো হয় আর ফাঁকা হলেই একাকীত্বের পিঠে সওয়ার ।
আগে যৌথ পরিবারে হই হই করে খেলা , পড়াশোনা ,যৌথ কাজকর্মে কি সুন্দর দিন গুলো কাটতো, ছেলে মেয়েগুলো মানুষ হয়ে যেতো ঘরের মানুষদের ওপর ভরসা করে ,কোলে পিঠে চড়ে ! এখন পরিস্থিতি অনেক আলাদা । উপার্জন বেশি তবু এক সন্তান মানুষ করতেই দিশেহারা অভিভাবকগণ,তাই একাকিত্বই সঙ্গী।
প্রবন্ধ
ইংরেজি সাহিত্য ও নষ্ট কথা
ইংরেজি সাহিত্য ও নষ্ট কথা
শাবলু শাহাবউদ্দিন
বেশ কিছু বছর হল ইংরেজি সাহিত্যের লেকচারার কিংবা অধ্যাপকদের উপর বিভিন্ন অভিযোগ আনা হচ্ছে । তাদের বিভিন্ন চাপের মুখে ফেলে নানা রকম হেনস্থা করা হচ্ছে । এমন কী হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে । এই তো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম স্যারকে হত্যা করা হল , তিনি নাকি নাস্তিক ছিলেন বলে । আসলেই কি তিনি নাস্তিক ছিলেন নাকি অন্য কিছু হাছিল করার উদ্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছিল? এটা সবার জানবার কথা । এই কিছু দিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ স্যারকে ( বর্তমান উইএসটি এর ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা) গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল । কিন্তু কেন ? প্রশ্ন টা সবার মনে আসার কথা । আমারও এসেছিল । পেপার পত্রিকা পড়ে বুঝতে পারলাম যে , অধ্যাপক সাহেব নাকি ক্লাস রুমে নষ্ট কথা বলতেন । নষ্ট কথা বলতে বুঝানো হয়েছে যৌনতা কিংবা সেক্স বিষয়ক কথা ।
এইবার বলি , বলুন কেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক কিংবা লেকচারার Sexual কথা বলেন ? নিশ্চয়ই কোন কারন আছে ! ধরুন আপনি চিনি খাচ্ছেন , আগে কখনও মধু পান করেন নি, তাহলে কি চিনি খেয়ে মধুর স্বাদ বর্ণনা করতে পারবেন কিংবা মধুর গুণ কী বুঝতে পারবেন । কিংবা ধরুন আপনাকে সরিষার তেল খেতে দেওয়া হলো এবং বলা হলো যে বলুন মধুর স্বাদ কেমন ? যদি আগে কখন মধু না খেয়ে থাকেন তাহলে কি মধুর স্বাদ সম্পর্কে কিছু বলতে কিংবা লেখতে পারবেন ? উত্তরে হয় তো আশা করি না বলবেন ।
ঠিক এমনই, ইংরেজি সাহিত্যে যেখানে মধু আছে সেখানে মধুর স্বাদ বর্ণনা করতে হয় কিংবা যেখানে চিনির স্বাদ আছে সেখানে চিনির স্বাদ বর্ণনা করতে হয় । আবার যেখানে সরিষার তেলের স্বাদ আছে সেখানে সরিষার তেলের স্বাদ বর্ণনা করতে হয় ।কারণ, ছাত্রছাত্রীদের সঠিক জ্ঞান দান করা একজন শিক্ষকের নৈতিক দায়িত্ব । তারা যদি ভ্রান্ত জ্ঞান দান করেন , তাহলে নতুন প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে পতিত হবে । তাই তো বলা হয়, শিক্ষক জাতি গড়ার কারিগর ।
কোন শিক্ষক যদি সফোক্লিস এর নাটক ঈদিপাস রেক্স পড়ান , তিনি অবশ্যই বর্ণনা করবেন মায়ের সাথে ছেলের বিয়ে এবং তাদের Sexual জীবন কাহিনী । যে শিক্ষক বর্ণনা করবেন তিনি তখন আপনার (কঠোরপন্থীদের) কাছে নিশ্চয়ই নাস্তিক রূপে আত্মপ্রকাশ পাবে । আসলে কী তাই ? ঐ শিক্ষক কী নাস্তিক নাকি চরম সত্য প্রকাশ করছে । আমি ঐ সকাল কঠোরপন্থীদের বলতে চাই যে আপনারা পতিতাবৃত্তি মহিলাদের নিয়ে গবেষণা করুন, এমণ হাজারও ঘটনা স্বাক্ষ্য পাবেন । যেখানে মা ও ছেলে জীবনের অজান্তে নষ্ট কাজ (সেক্স) করছে একে অন্যের সাথে।
ইংরেজি সাহিত্যে Sexual শব্দ ব্যবহার নিয়ে কঠোরপন্থীদের যত এলার্জি, সেই উপলক্ষে একটি কথা বলি, আপনার অবশ্যই পথ চলতে দেখবেন অমুক হারবাল , তমক হারবালে সাইনবোর্ড । সেখানে হাজারও Sexual শব্দ ভরপুর । ওখানে কেন আপনাদের এলার্জি জাগ্রত হয় না । যত এলার্জি ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে কেন ?
ধরুন হেনরি ফিল্ডিং এর উপন্যাস টম জোনস্ কোন শিক্ষক পড়াচ্ছেন, যেখানে টম নানা মহিলার সাথে প্রেমের কৌশলে দৈহিক মিলন করছে । এটা কি অবাস্তব কোন ঘটনা ? আসলেই না । এটা প্রাত্যহিক ঘটনা । গোপন সমাজ তার হাজারো স্বাক্ষি । এমন অসংখ্য ক্যানসার সমাজকে গোপনে গিলে ফেলছে । চক্ষু লজ্জা আর কত দিন চলবে ?
অবশেষে এটাই বলতে চাই যে, ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষকেরা শুধু নষ্ট কথা বলেন না, তারা সমাজ থেকে নষ্ট জিনিস দূর করতে চান । ধর্ম যেখানে শুধু ভাল প্রচার করে , সাহিত্য সেখানে নষ্ট প্রচার করে সমাজের ক্যানসার সারাতে সাহায্য করে । সাহিত্য জানে যে সমাজে ক্যানসার থাকে সে সমাজ উঠে দাঁড়াতে পারে না । তাই সমাজের ক্যানসার সারানোর দায়িত্ব তো ইংরেজি সাহিত্যে শিক্ষকেরাই নিয়েছেন । আশা রাখি কঠোরপন্থীদের মগজে একটু হলেও সত্য বস্তুটি প্রবেশ করবে যে, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকেরা ক্লাসে Sexual কথা বলেন না, তারা সমাজের গোপন রোগ ক্যানসারের চিকিৎসা করেন ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)