এপ্রিল সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
এপ্রিল সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২০
কবিতা : সৌরভ বর্ধন
কবিতা : অনুশ্রীতা বিশ্বাস
কবিতা : দেবস্মিতা দাস
হিংস্র পোকামাকড়ের কামনার বলি হওয়া এক গোলাপ
আজও লাল হয়ে ফুটে আছে ।
দূর থেকে ভেসে আসে শিকারির জালে ফুলের প্রলাপ ।
এই বুঝি তার পালা এল ,
শিশিরসিক্ত উজ্জ্বল পাপড়ি এই বুঝি আঁধার
হয়ে শুকনো বৃন্তে মিলালো ।
ঐ আসে তার জীবনের কালো মেঘের আষাঢ় ।
কুঁড়িতে ধর্ষিত হওয়া আরও একটা ফুলের উপসংহারে ,
খুঁজে পাই ভূমিকা না হওয়া এক নিষ্পাপ বালিকারে ।
ঐ আসে তার জীবনের কালো মেঘের আষাঢ় ।
কুঁড়িতে ধর্ষিত হওয়া আরও একটা ফুলের উপসংহারে ,
খুঁজে পাই ভূমিকা না হওয়া এক নিষ্পাপ বালিকারে ।
কবিতা : অরুণাভ নিয়োগী
কবিতা : হামিদুল ইসলাম
বসন্তের ছোঁয়ায় পাততাড়ি গুণি এবেলা ওবেলা
নজরবন্দি পলাশ শিমূল
নৈঃশব্দের বাতাবরণ ভেঙে বেরিয়ে আসে এক মায়াবী মুখ
অস্থিরতা তার শরীর জুড়ে
তার চোখের কোণে স্নান সারে খরস্রোতা নদী ।।
অস্বচ্ছ ভাবনায় ভাঙি ছবির দেয়াল
আগুনে পোড়াই সমস্ত অনুভূতি
তবু দেখি তার অনর্থক ফেরার পথে আমার অসম্ভব ব্যাকুলতা
নিজের অস্তিত্ব অনুভব করি
এক বিশাল ময়াল মৃত্যুকোষ গিলে খায় নিরবধি ।।
শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০
কবিতা : বদরুদ্দোজা শেখু
ঘুমঘোরে জেগে উঠি , ঝিরিঝিরি ভোরের মলয়
শিরশিরে আমেজ দ্যায়, দেহমন বিরহী হৃদয়
আপ্লুত নন্দিত হয় , পাখিরাও শুনি অনুভব করে এই প্রসন্নতা , মৃদু মৃদু সুখী কলরব
ইতস্ততঃ ভেসে আসে, আশপাশে নীরব স্থবির
ঘরবাড়িগুলো ঢুলে দেউড়ির দরমা-টাটির
খিল তুলে, অনাবিল শান্তির প্রহর ঘুরে যায়
জগতের বিপন্ন সত্ত্বার আতঙ্কিত অসহায়
জনপদ জুড়ে জুড়ে, ফুঁড়ে উঠে প্রাগৈতিহাসিক
মানব-সভ্যতা, প্রত্ন খায় বিশ্বত্রাস করোণা-বৃশ্চিক !!
কবিতা : মিঠুন রায়
তোমার অতসীপ্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে অনেক আগেই,
রান্নাঘরে বাটা হলুদের মতো তোমার মুখশ্রী,
সবুজ বণানী জুড়ে ফুটে উঠেছে শ্বাশত প্রেমের শতদল।
আমি তোমার প্রেমিক নাকি অন্য কেউ,জানিনা।
বৃষ্টির সোঁদা গন্ধে সমোহিত হয়ে পড়ি অপ্রত্যাশিত,
প্রেমের মোহে তোমার সহস্র ভুলেও খুঁজে পাই বিবর্ণ অজ্ঞানতা,
শুধু স্বপ্নের সুতোয় নক্সীকাঁথা বুনি।
কবিতা : ডঃ চন্দ্রকান্ত চক্রবর্তী
রাত-ঘুম ভেঙে দু-লাইন লিখে ফেলার পর
বড়ো প্রশান্তি এসে ঘিরে ধরে
নৈ:শব্দ হাতড়ে তখন স্বপ্ন আছড়ে চৌচির করি
দু:স্বপ্নরা পাড়ি জমায় অন্যত্র!
এক আঁধার রাতই যথেষ্ট মনে হয়
আসল মুক্তোর ছটায় নিজেকে খুঁজে পেয়ে
আমি দাঁড়াই এসে অমিতপরাক্রমী--
হে আর্কিমিডিস, তুমি বার বার আসো,
ফিরে ফিরে আসো
তবেই না সৃষ্টি বাঁচে শাশ্বতকাল !
কবিতা : প্রণব কুমার চক্রবর্তী
উপত্যকা জুড়ে বইছে এক নোতুন হাওয়া .......
এঁকে দিচ্ছে মাটির বুকে কান্না ভেজা মৃত্যুর একটা সুন্দর হিম-শীতলতা
ক্রমশ নিশ্চুপ হয়ে পড়ছে উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনা
শঙ্কিত সব গার্হস্থ আলোচনা আর
সকাল-সন্ধ্যার প্রার্থনা
শূন্যতার করিডরে তৈরি হওয়া
নোতুন এক যন্ত্রণার ব্যাকরণ
সূর্য এবং চন্দ্রের উত্তাপ মেখে বৃষ্টি হয়ে
নেমে আসছে পৃথিবীর বুকে ......
শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০
অনুগল্প : পৌলমী সরকার
একটা চড়, সিদ্ধান্তটা নিতে খুব একটা দেরি করেনি মেয়েটি, হাতের কাছেই পেয়েছিল উপকরণ; ঠাকুমার ঘুমের ওষুধের শিশিটি। মেয়ের অধঃপতনের খবর পেয়েছিল শিল্পী বাবা। সে সমস্ত সত্তা বিকিয়ে দিয়েছে সামান্য কটা টাকার জন্য। ন্যুড মডেল হয়ে টাকা ইনকাম করেছে। এমন মেয়ের বাবা হয়ে বেঁচে থাকার কষ্টে তিনি বাঁচতে চান না একমুহূর্ত... বিছানায় শুয়ে থাক
অনুগল্প : প্রতিমা ভট্টাচার্য মণ্ডল
আজ খুব ভোরেই ঘুম ভাঙ্গলো ঊর্মিলা দেবীর,যদিও তিনি রোজ সকাল সকাল বিছানা ছাড়েন।তারাতারি স্নান সেরে ঠাকুরের কাছে জোর হাত করে বললেন-"ঠাকুর আমার বাবাই এর আজ চল্লিশতম জন্মদিন ওকে ভালো রেখো, সুখে শান্তিতে ভরিয়ে দিয়ো।" মনে মনে ভাবতে লাগলেন ছোট বেলায় নিজেই পায়েস রান্না করে ঠাকুরকে নিবেদন করে ছেলের মুখে দিতেন।এখন সে উপায় নেই।বাবাই এর বাবা মারা গেছেন আট বছর হতে চললো, তার পরের বছরই হরিদ্বার বেরাতে নিয়ে আসে বাবাই আর বৌমা,সঙ্গে দু'বছরের নাতি।তারপর সেই যে হরিদ্বারের ঘাটে রেখে চলে গেলো আর এলোনা। দেখতে দেখতে ছয় বছর পার হয়ে গেলো ঊর্মিলা দেবী জানেন তাঁরা আর কোনদিন আসবে না।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)