ফেব্রুয়ারি সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফেব্রুয়ারি সংখ্যা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


   অণুকবিতা
      
        অনুশ্রীতা বিশ্বাস,ঋভু চট্টোপাধ্যায়, 
      বিশ্বজিৎ হালদার, ডঃ রমলা মুখার্জী,
      রীতা রায়,সোমাধর ঘোষ, বদরুদ্দোজা        শেখু,পিয়ালী গোস্বামী, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়,
   আব্দুস সালাম,প্রতিমা ভট্টাচার্য্য মন্ডল,
              বর্ণালী দত্ত,অরিন্দম মাইতি

                        অণুগল্প

             ‌  রাণা চ্যাটার্জী, মহুয়া মিত্র, 
           আনন্দময়ী মুখোপাধ্যায়

কবিতা :ঋভু চট্টোপাধ্যায়


                       না  বলা অথবা  
                       ঋভু চট্টোপাধ্যায়

               এভাবে বুকের অগুন জ্বালাতে পারিস
              যেভাবে তুলি ক্যানভাস জুড়ে থাকে
              একটা গহিন বন্য নদীর ধারে
             যেভাবে হাজার স্বপ্ন ধরে রাখে।
             এভাবে কেউ পাগল হতে পারে
             যেভাবে মেঘ আকাশকে রাখে ফন্দি
             কাউকে ছুঁয়ে যাযাবর হতে পারি
          আমিও তো সেই উদাসীন স্রোতে বন্দি।

কবিতা: অনুশ্রীতা বিশ্বাস


             আলোহীন জানালার ধারে
                     অনুশ্রীতা বিশ্বাস

           আলোহীন  জানালার  ধারে
                      পথিকের  পায়ের  শব্দে,
          মনের  তীব্র  আবেগে দমিত
                     দহন হৃদয়সংকূলে -
                   শীতল বায়ুর স্পর্শে
          দমিত  আবেগে  স্পর্শ  এনেছে,
                  পথিকের  পথ চেয়ে
               আবারও  প্রদীপ জেলেছে। 

শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


হাতটা ধরিস 
                                                      বিশ্বজিৎ হালদার

স্মৃতির ব্যালকনি থেকে, পুরনো পৃথিবীটা দেখছি-
কৃষ্ণচূড়ার বর্ষা ভেজা বকুলের ঘ্রাণে ,না


সুবাসে আমার অলিন্দ।
পড়ন্ত বিকেল বেলা, আচমকা ঘুম ভাঙ্গে ইরাবতীর ডাকে। 
সময়ের কোন বাঁধন নেই , তোর আবদারে,
মাঝে মাঝে সখের যাযাবর হয়ে ওঠা।
হাজার দুঃখের মধ্যে আজও খুঁজি, ডাইরির প্রতিটি অক্ষরে, 
একদুয়ারে নাইবা হলাম অতিথি সুযোগ পেলে হাতটা ধরিস।



                         রোদের জন্য
                       ডঃ রমলা মুখার্জী

রোদ্দুর হয়ে এসেছিলে জীবনে
কিন্তু অভিমানের কাল মেঘ তোমাকে গ্রাস করল।
একদিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে বাড়ি এসে দেখি তুমি নেই।
সুইসাইড নোটে লেখা,"কারও ওপর কোনো রাগ নেই আমার "।
ঝলমলে রোদকে তো কখনও আপ্যায়ন করিনি।
অনাদরে, অবহেলায় সোনালী ম্লান হয়েছে ক্রমশ....
অপমানের আঁধার বুকে সে আজ আলোর উৎস সন্ধানে....
মুখ থুবড়ে আমার বর্তমান।

                  ভালোবাসা চিরন্তন  
                                       রীতা রায় 

             সুখের ভাগ দাওনি কখনো 
             দুঃখেও রাখোনি সাথে ..
             ছিলাম শুধু তোমার একাকীত্বে,
            সেখানেও উপেক্ষিত জানি..
            তবু, নিঃস্বতা আঁকড়ে থাকে 
            থেমে যাওয়া পেণ্ডুলামে !
            ভালোটুকু বাসি হয়ে গুমরে মরে
            অন্তরের ঘুপচি ঘরে !

                             মাঝে

                                 সোমা ধর ঘোষ


তোমার চোখের অপরাহ্ন
     আমার আর বসন্তদিনের মাঝের
          দরজাটা খুলে দিয়েছিল

             আমি দেখেছিলাম কৃষ্ণচূড়া


 আজও আমার প্রেমের ছায়াপথে হাঁটো
       বলো গোপন---চুপকথা।

সময়-সাম্পানে ভেসে
   পাগলপারা দুটি হলুদপাখি 
       কাকলি ভুলে উদযাপন
           করে মৌনতা।

                        আষ্টেপৃষ্ঠে
                          বদরুদ্দোজা শেখু

আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি তার সাথে যেন লিপস্টিক
স্নো-পাউডার আলতা সিঁদুর কাঁচের চুড়ি জরির টিপ
পরীর ছোঁয়া চোলির ছোঁয়া গোয়া মুম্বাই
সায়া শেমিজ
সব কিছুতে মাখামাখি প্রেম পীরিতি বেত্তমিজ,
হিজ-এন-হার একাক্কার কোরা কাগজে অঙ্গুঠায়, ----
সাদা হৃদয় ধার ধারে কি ভাব হিসাবের জগৎটায় ?
জড়িয়ে গেছি আষ্টেপৃষ্ঠে আপাতদৃষ্টে উদাহরণ
লুকিয়ে আছে ফুলের মধ্যে ভুলের লজ্জা লহু-ক্ষরণ ।।

                        স্মৃতিটুকুই থাক                                                 পিয়ালী গোস্বামী

             ভাসমান স্রোতে সবাই ভাসছে,
             ভাসছিল অনুভূতিগুলোও
            শুধুই হতাশা।
            জানো?আপন পরের হিসাবটা?
            সবাই আবেগতারিত
            হিসাবটা অজানা।
           সিগারেটের টানে বড্ড মাথা ধরে,
           প্রতারনার দায় পাহাড়ের নেই
           সে জানেও না যে, সে মারা গেছে।।

                       বৃষ্টি ভেজা রাত

                                     রাণা চ্যাটার্জী



"অঝোর ধারায় বৃষ্টি!
একি কান্ড তাবলে এভাবে ভিজবি!?"

ডুবল রাস্তা।সামনে পরীক্ষা এদিকে  লোডশেডিংয়ের বহর ! দূর ছাই এভাবে পড়াশোনা হয়-আক্ষেপ।

এলো লাইট, বাজছে মধ্যরাত্রির ঢং ঢং ঘন্টা।
 থৈ থৈ পুকুর,ব্যাঙের ডাক,অদ্ভুত মাদকতার ব্যালকনি, ল্যাম্পে ঘনীভূত বাষ্প।

খস খস শব্দ !ওরে বাবা এ কি!টর্চ জ্বালিয়ে দেখি,পরিত্যক্ত ঝুপড়িতে কে যেন সেঁধিয়ে!

"এই ওঠ, আয় বারান্দায়,নির্ঘাত নিউমোনিয়া!"
ঘুম ভাঙতেই ভোরে এক দৌড়ে নিচে।কি করছে ছেলেটা একবার দেখে আসি বলে গিয়েই থমকে।

এ কি !তালাবন্ধ বারান্দা ! স্বপ্ন ছিল?
অসহায় মানুষের কত কষ্ট ,আমরা চোখ থাকতেও আত্মসুখী

                         প্রেমের  ছোঁয়া

                    ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়


         প্রেমের নেই কোন সময় অসময়,
         সবেতেই বাঁধা তার নিশ্চিত জয়।
        মানেনা কোন সে জাত পাত,
        বয়সের পার্থক্যে নেই তার হাত ।
   বিভাজন নেই তার সচ্ছল,অসচ্ছলতার,
        রূপ দেখে কখনই করেনা বিচার।
       চাই তার দুটি হৃদয়ের সংযোগ,
       প্রেমে বুঁদ হয়ে করুক উপভোগ ।
       প্রেম ছাড়া জীবন বড় অর্থহীন,
       এর ছোঁয়া পায় যে, দুচোখ স্বপ্নে                 রঙিন।

                               সুধা সঙ্গ

                                   আবদুস সালাম 

   যুবতি দেহে খেলা করে অজস্র সাহিত্য
   কামাতুর পুরুষ গন্ধ পায় উচ্ছ্বাসের
  বালিকা দেহে ঝুলে আছে রমনসুধাআদর

  ভ্রষ্টতা ভেসে যায় চুম্বনের স্রোতে
  ক্রমশ ডুবে যায় যুবতি শরীরে
  ভেঙে যায় বাঁধ

  আবদ্ধ হয় প্রশান্তির বাহুমুলোই
  শরীরের সামিয়ানায়  টাঙানো উথাল পাথাল        আদর

   একটা ইতিহাস হবে বলে বার বার  নির্মান
   ভাঙি ।


                অবশেষে প্রেম আসে

                        বর্ণালী দত্ত

  
প্রেম হোক।
দুরের ঘরের অন্ধ জানালায় -আলো পরুক।
বেদনাচিহ্নিত এই কুটিররেও কেউ ভালোবাসুক।
দুচোখের নেশায় এখন বিষ, 
প্রেম আসে, তা চরনে দান করা হয়না।
শুধু  জ্যোৎস্নার নিভে আসা আলোয়-
এগিয়ে এসে মিশে যায় শরীর, 
মৃদু কাপড়ের আবরন নেশাতে অদৃশ্য হয়ে-
তৃষ্ণার্ত ঠোঁট মিলে যায়। 
ক্রমে বিছানার মায়াজাল তোলপার করে দুটি দেহ।
আলিঙ্গন দিয়ে শুরু :আবার আলিঙ্গনেই শেষ।।


                                অন্ধকার

                   প্রতিমা ভট্টাচার্য্য মন্ডল


                  নিশুতি শব্দহীন রাতে
                 একলা জেগে থাকি ।
                 বিশ্বচ‍রাচর মনে হয়
                 অতল গভীর ঘুমে মগ্ন।
                 কোথাও একটু শব্দ হলে,
                 মনের মাঝে ভয় দানা বাধে।
                 কি জানি কিসের ভয়,
                অন্ধকারের অজানা রহস্য
                ভেদকরা যায় না তা ।
                তবুও আমরা ভয় পায়,
                ব‍্যাখ‍্যাহীন অজানা ভয়।
               রাতের অন্ধকারে একলা ঘরে
               মন যে কতকথা বলে,
               নিজের সাথেই নিজে।
               তখন মনে হয়, 
              আমি আর আমার মন
              যেন অন্তরঙ্গ দুই বন্ধু।
              দুজনের দুই শত্তা ,
              মিলে মিশে এক হয়।

                 কল্পনাদের আঁকড়ে রাখা ক্ষত

                                অরিন্দম মাইতি


                  কল্পনাদের আঁকড়ে রাখা ক্ষত
            অপেক্ষাদের প্রহর গোনা রোজ,
           গুগল ম্যাপেও থাকছে বুঝি ভুল
           অন্তমিলেই পথ হারানোর খোঁজ।

           আমি এখন অনেক রাত্রি জাগি
  সঙ্গী আমার ইনসোমনিয়া,ব্ল্যাক কফির কাপ,
            তুমি এখন ঘুমোও  বরং 
            তোমার পাড়ায় এখন অনেক রাত।।





                   এখনো বকুল ফোটে

              আনন্দময়ী মুখোপাধ্যায়


    মনে আছে স্বপ্নময়, আমাদের সেই সুগন্ধি
বকুলঝরা বসন্ত-গ্রীষ্মের দুপুর বিকেলের দিনগুলো। আমি বলতাম বকুল শুকিয়ে যায় তবু সুগন্ধটি
থাকে। তুমি বলতে আমরা শ্রীহীন হব আমাদের ভালোবাসা টি খুশবুদার থাকবে বার্ধক্যে।
     'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না'----
   সবইচ্ছে পূরণ হতে নেই কি!
   ‌ প্রেমেরজোয়ারে ভাসিয়ে আমায় অপেক্ষায় রেখে প্রবাসে গেলে তোমার উচ্চতর প্রত্যাশা পূর্ণ করতে,
প্রবাসে প্রতিষ্ঠার শিখরে নজর দিতে আমাকে ভুললে, পথ বদলালে। অন্যগামী। স্নিগ্ধবকুলগন্ধে
মন বসেনা। তীব্রগন্ধ চাই।
     ----আর নয়। আমার একলা পথচলার ভাবনা।
সন্ধান পেলাম শান্ত নতুন জগতের। নগরীর কোলাহল এড়িয়ে দূরগায়ের স্কুলের শিক্ষয়িত্রী আমি।
    পেয়েছি অন্যভালবাসার জগৎ, এখানে ‌বকুল
ফোটে। শিশুদের ভালোবাসার সুগন্ধে চিরনতুন,
বর্ষে বর্ষে নতুনশিশুর দল।

                                     সত্যি ভালোবাসা

                             মহুয়া মৈত্র


" আজ আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী । তাই আমি আজ তোমাকে সাজিয়ে দেব আমার মনের মত করে । এই যে, খোঁপায় দিলাম জুঁইয়ের মালা, কপালে লাল টিপ, কানে সোনার ঝুমকো, গলায় সোনার হার, হাত ভর্তি চুড়ি , লাল বেনারসী আর অবশ্যই সিঁথি ভরে সিঁদূর । ঐ দ্যাখো, আয়নাও বুঝি তোমায় দেখে লজ্জা পাচ্ছে । "

চোখের জল ফেলে স্বামী ঘরের বাইরে চলে গেল । আয়নার সামনে চুপ করে দাঁড়িয়ে স্ত্রী, গতমাসে কঠিন চোখের অসুখ ধরা পড়ে আজ সে পুরোপুরি অন্ধ ।