শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

অনুগল্প : নিখিল মিশ্র ঠাকুর


নব্বোই এর দশকে গ্রাম থেকে আমাকে প্রতিদিন সাতকিমি পথ হেঁটে এবং দেড়ঘন্টা বাস করে সিউরি বিদ্যাসাগর কলেজে পড়তে যেতে হতো। রাস্তায় বড়োবাঁদ নামের পুকুরটার দুই পাশের মাঠ গুলোতে শামুক ভাঙা কেউটে নামে এক প্রজাতির  বিষধর ও হিংস্র সাপ থাকতো।
বর্ষাকালের এক সন্ধ্যায় মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে বাসস্ট্যান্ডে নেমে আমি চারিদিক ঘুটঘুটে অন্ধকারে হা্টছি। বড়োবাঁদের আগের মাঠগুলোতে এসে হঠাৎ করে আমার পা পিছলে গেল। আমি যেই মাঠে পড়েছি,সাথে সাথেই মাঠের অন্যদিক থেকে জলে কিলবিল করে আওয়াজ। আমি বুঝতে পারলাম শামুক ভাঙা কেউটে আসছে। তড়িমরি করে মাঠের আলে উঠে এলাম। আমার একপাটি হাওয়ায় চটি মাঠে গেঁথে রয়ে গেল। 
 
আমি মাঠের আলে নড়াচড়া না করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি কখন একটা জোরে বিদ্যুৎ চমকাবে।  কিছুক্ষণের মধ্যেই খুব জোর বিদ্যুতের ঝলকানি। আমি ঝপাস করে চটি তুলে নিয়ে আপাতত ভরতের মতো খরম মাথায় দিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই: