মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯



                                     রবিন বণিক

                          কবির রক্ত

          তারপর একটু একটু করে কবির রক্ত দিয়ে
         জোড়া দিয়ে যাচ্ছ রোদ—
         প্রত্যাশা করিনি,প্রকাশ্যেও বলিনি
        যারা ফেলে রেখে গেছে রুগ্ন অন্তরীক্ষ—
        তখনও জন্ম হয়নি চাঁদের
       যে অতীত সামনে এসে দাঁড়িয়েছে নতমস্তকে
       তাকে বলো আর কিছু না হোক– কবির রক্তে
       উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একশো যুবতী গ্রাম
       কথার কথা সাজিয়ে ওরা আকাশ ভেজায় জলে
      কবির রক্তে পাতা ভিজিয়ে রাখছে গাছ—


                             
পোড়ামাটির গাছ

হাঁটতে হাঁটতে কবিতার মাঝপথে এসে একদিন
চোখে পড়লো এক উঁচু পাথর, তাতে লেখা ছিল
যা কিছু পুড়ে যায় তা আমার জলরঙ—
বুঝিনি— আসলে আমার পুড়ে যাবার মতো
কিছুই ছিল না, একটু একটু করে ভীষণ ছায়া
নিভৃতে পুড়ে পুড়ে পাথর হয়েছিল , কাঁদতে পারিনি
সেদিন আমার মা–র বুকে কোনো নদী ছিল না
একটা একটা করে সমস্ত নৌকো উল্টে পড়েছিল
নিঃসঙ্গ আঁচলে, বিস্তীর্ণ উঠোন জুড়ে ছিল শীতের ইতিহাস
পিতামহের ঘরে জলরঙের কোনো উদ্ভিদ ছিল না
বাবার পুরোনো আসবাব ঘেঁটে জানতে পারি সেখানেও
পোড়াবার মতো কোনো কৃতজ্ঞতা ছিল না, কোনো
উপত্যকা রঙের মৃদঙ্গ ছিল না—
আসলে
সব ছায়াপথের শেষে অপেক্ষা করে থাকে পোড়ামাটির গাছ—

কোন মন্তব্য নেই: