মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯



                                    শিবাশিস দত্ত

                                           ঈশ্বরীয়

এ কোন জোনাকিসন্ধ্যা....মোহফুল ফোটার পর আবছা আলো ঘিরে থাকে কাচপোকার দল... বহ্নিমান অতীত থেকে নেমে আসে সিভিলাইজড সন্তাপ ! 
অস্তি আর নাস্তির মাঝে যে জটিল বিভাবনা, কিংবা দেহাতি ভাষার কোনো তাজ্জব স্বপ্ন-- এ কোন অনঙ্গ অমৃতাশন? কাঠকয়লায় আঁকা দেবীমুখ ভুলে গেছো, নির্বাণের আবেশ কিংবা অনুরাগে পথভ্রষ্ট হলে বুঝি !
তরল ছায়ায় টানা ঘোড়ামুখ উত্তোলিত হলে নিওলিথ যুগের ভাবাবেগ জেগে ওঠে। তূষানলে দগ্ধ হয় অরুন্তূদ প্রেম, সংবিতের কানাকড়ি নিয়ে গোল বাধে।
জড়ভরতের দেশে ঘুমন্ত কবি-লেখকদের নাসিকাগর্জন শুনি, মশানের কম্প্র আলোর প্রচ্ছদ দেখে ভালুকের চোখে জল আসে। গানের ভেতর শাব্দিক দুর্ঘটনার আবহ রচিত হয়, বিশ্বাসের খুদকুড়ো নিয়ে বসে থাকে পরাণের মা। রাত গভীর হলে কপালের টিপ খসে পড়ে, জলে মুখ ঢাকে নিস্তনী বনিতা।
***********
                   আত্মজ্ঞান

আঁধারের বুক চিরে নেমে আসে অনিবার্য শূন্যতা
মুঠোভর্তি দেহতাপ নিয়ে হেঁটে যায় অভুক্ত রমণী
অস্থিরতা আর অপূর্ণতার মাঝে যা কিছু ভিস্যুয়াল
তা থেকে তুলে নাও ব্রেকাপের রং, অপরিণত মৃত্যুর জটিল নকশা।
নির্দিষ্ট স্নেহসুখ নিয়ে বেড়ে ওঠে মায়াজল,
সবুজ রঙের পাখি, নক্ষত্রপ্রেমের পূর্বরাগ।
স্বপ্ন কিম্ভুতকিমাকার হতে পারে
গাছেদের শয্যা ভেবে বাঘছাল পাতি
বনকপোতের ভীড়, কবচকুণ্ডল হারিয়ে ফেলার পর
সুফিদের সিলসিলা ঘুরে জেনে নিই আত্মজ্ঞান কাকে বলে।
আবে কোন শালা আমার কী করবে বে
আমি এখন এ শহরের আঁভাগার্দদের দলে।

কোন মন্তব্য নেই: