বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

নভেম্বর সংখ্যা

                 নভেম্বর সংখ্যার সূচিপত্র



                                           কবিতা
                       রঞ্জনা ভট্টাচার্য্য~ জেগে থাকে লুব্ধক
                       কুনাল গোস্বামী~     স্বপ্নের কালপুরুষ
                      অভিজিৎ মান্না~  অর্ধেক আকাশ
                      কল্যান মাহাতো~   সময়
                      কৌশিক চক্রবর্ত্তী~  বৃষ্টিপাত
                      রুনা দত্ত~  ফেলিন স্বপ্ন
                       বদরুদ্দোজা শেখু~  সুলতান
                      
                                           প্ৰবন্ধ  
                   রাণা চ্যাটার্জী~  ভ্রমন পিপাসু বাঙ্গালি
                                         অনুগল্প
                     সিদ্ধার্থ সিংহ:~   সত্যি সত্যি
                     ডঃ রুমলা মুখার্জী:~ অনুতাপের আগুন


                                   জেগে থাকে লুদ্ধক
                                 
                                  রঞ্জনা ভট্টাচার্য

 ডিউলার কিচেনে বাসি তরকারি জ্বাল দেবার পর টবে জল দিই। আমার কোন অভাব নেই।
শুধু গতজন্মের বিষাদ আছে। মাঝরাতে লালপাড় সাদা শাড়ি পরে পালতোলা নৌকার কাছে বসি, ছলাৎ ঢেউ থেকে উঠে আসা হাওয়া
আমার আঁচল খসিয়ে দেয়। শেষরাতে গোল
চাঁদ ওঠে আকাশে,লক্ষ্মীর পা আঁকা চাঁদ।
ঘরে ফিরে যেতে বলে। প্রচুর হোমটাস্ক দিয়ে
দেয় নিবিড় তারাগুলো। কোন দিন ভুল ঘরে ঢুকি নি, তবু চাবি হারিয়ে ফেলা আমার অভ্যাস।
কিছু বৃন্তচ্যুত ফুল পিছু ডাকে, তবু ঘরে ফিরতে হয় নৌকা ছেড়ে, কিছু আলো আলো মুখে  জেগে থাকে লুব্ধক।

                          স্বপ্নের কালপুরুষ....
                                কুনাল গোস্বামী


     অবিন্যস্ত নীলাম্বরী ছুঁতে চায় দ্রাঘিমার চিবুক
     ঈর্ষায় ভেঙে পড়ে স্বপ্নের কালপুরুষ
     কত নৈসর্গিক সুখের অভিলাষে সে আজ প্রাক্তন, প্রাক্তনই বটে...
    ক্রমবর্ধমান সময়ের চক্রে
    হতে পারে মেঘেদের অশ্রুধারায় বেড়ে চলেছে নীলিমার লবণাক্তের      পরিমাণ 
    তাতেও কি মিটেছে আশ?ছুঁতে পেরেছে দ্রাঘিমার চিবুক?
    সহস্র ঢেউয়ের মৃদু মৃদু আর্তনাদ এসে আছড়ে পড়ে প্রেমিকের বুকে
    যে বুকে আজও কোনো শিল্পীর স্পর্শে তুফান গড়ে ওঠে

                                 অর্ধেক আকাশ 
                           অভিজিৎ মান্না 

                        আমি ক্রমশ ঝুঁকে যাচ্ছি
                        তুমি হাসছো নতুন ভঙ্গিমায় l
                        শুকনো বাতাস আর ঘোলা জল ঝিটিও না
                        এ যে কষ্ট টানে গভীরতার  সিঁড়ি ভেঙে l
                        ঠাঁই হবে না এ নৌকায় 'বুঝে গেছি তুমি অন্য মেঘ l 

                                               সময়
                                   কল্যাণ মাহাতো
                
                       পল পল করে পলকে নিবেছে সময়
                       ছুটন্ত গাড়িতে যাত্রী যেমন
                      তেমনি ফেলে এসেছি
                      সময়ের পোড়া জঞ্জালের পাঁশ
                      আর ধোঁয়া
                      পুনর্নবীকরণের আশা নেই জেনেও
                      ঘেঁটেছি ছাই
                      অমূল্যরতনের আশে ...

                                              বৃষ্টিপাত         
                                   কৌশিক চক্রবর্তী  

তুমি যেটুকু আগুন ছুঁড়ে ফেলতে চেয়েছ শখের বিছানা থেকে
আমি ততটা ঘাসমাঠও তৈরি করে রাখি নি তোমার বুকে
শুধু আমার সমস্ত কবিতা থেকে প্রথম চারটি পংক্তি 
খুব অনায়াসে কাকভেজা হয়ে উঠতে দেখেছি চিরকাল
কোনোদিন কোনও নক্ষত্র মেনে বসন্ত আসেনি এইখানে
কোনোদিন পাতা খসে পড়বার আগে মিলিয়ে নেয় নি সমাধির বরাদ্দ মাটি
তবু কিকরে বলেছিলে তুমি আমার শোবার জন্য তোলা আছে নির্দিষ্ট ঘর?
আজও সুযোগ বুঝে আমি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছি দেয়ালের পরে
কেন জানি না আজ সকাল থেকেই এই বন্ধঘরেও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিল...

                                       ফেনিল স্বপ্ন
                                         রুনা দত্ত
                   কিছু এলোমেলো আদুরে মুহুর্ত
                   তোমার মতো আমার ও আছে।
                   যেখানে পায়রার বুকের মতো 
                   নরম তুলতুলে উষ্ণতায় ওম নিতে নিতে
                  আমি মোমের মতো গলে গলে পড়ি ।
                  উষ্ণতায় আর্দ্রতায় জারিত হতে হতে
                   জাফরানি রঙের সুগন্ধী ছুঁয়ে
                  ভীষণভাবে নারী হয়ে উঠি ।
                  সব সীমারেখা অতিক্রম করে
                  মহব্বতের দিলদরিয়ায়
                 ফেনিল স্বপ্নের মতো ভেসে যেতে থাকি । 

                                          সুলতান          
                                  বদরুদোজা শেখু

কে বলে আমি উলুখাগড়া ? আমিই সুলতান , আমিই রাজা
আফিম চরস তাই ছেড়েছি, ধরেছি অধম কল্কি গাঁজা
নেশায় ক্যামন্ বুঁদ হ'য়ে যাই , উড়িয়ে দিই এক্কাগাড়ি
পক্ষীরাজের ডানায় ডানায় তেপান্তরে জমাই পাড়ি,
সেইখানে ঝুন-পাকা দাড়ি পীর বাবাজীর দরগাহ্ আছে
আস্ত তারার আশরফি সব ফুল ফুটে' রয় শুকনো গাছে
এক ফালি চাঁদ দিচ্ছে উঁকি দিনের বেলায় ভেল্কিবাজি
কাউকে পেলেই পাঞ্জা লড়েন , জপেন মুখে  ' গাজী গাজী ' ,
আমি রাজী , এই বাবাজীর কাছেই নাকি হারাবো মান ?
কারণ আমি গাঁজার সাধক, আমিই রাজা আমিই সুলতান,
আমিই ওড়াই এক্কাগাড়ি মঙ্গলে আর চাঁদের দেশে - - -
নইলে কি আর শ্রেষ্ঠ হতাম এই পৃথিবীর প্রাণের দেশে ??



                          ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি
                                রানা চ্যাটার্জী

বেড়াতে যেতে পারলে কে না খুশি হয়।শীতের মরসুম হোক আর গরমের ছুটি অথবা একঘেয়েমি জীবনে নিদেনপক্ষে শনি,রবি বার মিলিয়ে আর তিন চার দিনের ছুটির সুযোগ এলেই এক পায়ে একটু হাওয়া বদলের অপেক্ষায় থাকি অনেকে।সারা বছর মনে মনে  বেড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি তে কিন্তু আমরা বাঙালির জুড়ি নেই ।কিন্তু বেড়ানোর সুযোগ হলেও সবাই কিন্ত মনের জোরে বেরিয়ে পড়তে পারে না,ঠেলে গুঁজেও কাউকে জোড় করে কৈ রে যা রে পরিবার নিয়ে ঘুরে আয় এটাও যে খুব ফলপ্রসূ হয় তা নয়।এর জন্য চাই যে বা যারা বেরুবে তাদের মনের তাগিদ,
বেড়ানোর খিদে ও ,"বেরুবো,যা হবে দেখা যাবে",এই মানসিকতার বেশ প্রয়োজন।
বেড়ানোর দিক থেকে শুধু ভারত বর্ষে নয় পৃথিবীতে যত জাতি আছে,বাঙালি তার নামের সাথে যথেষ্ট সুনাম রেখে চলে আজও। অতীতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না থাকলেও ,"থাকবো না কো বদ্ধ ঘরে,দেখবো এবার জগৎ টাকে বলে বেরিয়ে পড়তে বাঙালি বেশ সিদ্ধ হস্ত ছিল বলেই প্রমান।পাশের রাজ্যে সমুদ্র সৈকতে যত না সেই রাজ্যের পর্যটক,বাঙালির আনা গোনা স্রোতের মতো বারো মাস,আবার সে বেনারসের ঘাট হোক আর আগ্রার তাজমহল,দক্ষিণী কন্যাকুমারী,কি রাজস্থানের কোন আনাচে কানাচে কিংবা দার্জিলিং বা সিকিমের ছাঙ্গু, গুরুদংমার যাইহোক সর্বত্র ভ্রমণ পিপাসু বাঙ্গালীর চরণ ধূলি ও উৎসুক মুখের জয় জয়কার।
তাই দেখবেন,যেখানে যত দূরেই যান,দু চার জন নিজের লোকের মতো বাঙালি,অনর্গল এই মিষ্টি ভাষায় বকে যাওয়ার লোক ঠিক জুটে যায়। সেবার মহারাষ্ট্রে মহা বালেশ্বরের কাছে এক গুহায় যখন পৌছালাম,কিছু আগে বৃষ্টি হয়ে অন্ধকার যেন আরো ঝুপ করে নেমে গেছে। গাইড বললেন খুব সাবধানে নামলে নামুন,নইলে ছেড়ে দিন,প্রচুর ছোট বাঁদর ও আছে নিচে।জাস্ট দু চারটে সিঁড়ি , বসে বসে চেষ্টা করছি নামার,ও বাবা,বাঁদর দের কিচ কিচানির সাথে কানে এলো বাংলায় অনর্গল বক বক করা দুই প্রেমিক প্রেমিকার গল্প। আর নামিনি,না না অন্ধকার আর বাঁদরের ভয়ে নয়,ওদের প্রাইভেসি যাতে নষ্ট না হয় এটা  মনে করেই উঠে এসেছিলাম।
সেবার একটু চেন্নাই ছুঁয়ে মাইসোর যাবার পরিকল্পনা ছিল পরিবার নিয়ে।ট্রেনের সামনের সিটে বসা দুই ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা কিছুক্ষন পর খুব ভাব জমিয়ে ফেললেন।অবশ্য আমার কেউ সামনে অপরিচিত বসলে সে যদি খুব বেশি মুখ বুজে থাকা মানুষ না হয়,কিছুক্ষন পর যে বক বক করে গল্প করবেনই এই নিয়ে আমি নিশ্চিত থাকি। কথায় কথায় ওই ভদ্রমহিলা দিদির একটা কথা আমায় ভীষণ  উৎসাহিত করে ছিল।উনি কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন,"একঘেয়েমি এই জীবনে সারা বছর ধরেই একটু একটু করে সঞ্চয় করি,বেড়াতে আমাদের বেরুতেই হবে,এমনকি তাতে খাবার মেনুতে চার দিনের পরিবর্তে তিন দিন মাছ করেছি। "ওনার এই জীবন কাহিনী সত্যিই আমায় ভীষণ উৎসাহিত করে ওনার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়িয়েছিল,কমায় নি। ভালো লেগেছিল ওনার ভাবনা। বেড়ানো যে পরিমান এনার্জি দেয় এই ব্যস্ত জীবনে মানুষের,সামান্য হলেও এই ভ্রমণ  খোলা হাওয়া যে নিয়ে আসে আমাদের জীবনে তা যারা সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পরে তারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন।সব সময় যে অর্থই বেড়ানোর প্রতিবন্ধকতা হয় তা নয়,বেড়ানোর ইচ্ছাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ন


                              সত্যি সত্যি 
                        সিদ্ধার্থ সিংহ
মুর্শিদাবাদ ঘুরতে যাচ্ছে বানেশ্বর। ট্রেনের দোলানিতে বেশ তন্দ্রা এসে গিয়েছিল। ভাবছিল, গতকালের কথা।
গতকাল বিকেলবেলায় জীবনদ্বীপের উল্টো দিকে এলিয়ট পার্কে বসেছিল ওরা। ও মুর্শিদাবাদ যাচ্ছে শুনে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল ঝুম্পার। সেটা দেখে ও বলেছিল, দুটো দিনের তো ব্যাপার। যাব আর আসব।
--- দু... উ... উ... উ... টো... দিন! তোমাকে দু'দিন, মানে আটচল্লিশ ঘণ্টা না দেখে থাকতে হবে!
বানেশ্বর বলেছিল, তুমি আমাকে খুব ভালবাসো, না?
--- হু। লজ্জা পেয়ে উপর-নীচে মৃদু মাথা দুলিয়েছিল ঝুম্পা।
--- আচ্ছা, তুমি কি এ রকম ভাবে আর কাউকে ভালবেসেছ?
--- ধ্যাৎ, আজেবাজে কথা বোলো না তো...
--- না, বলছি, আমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে? --- না।
--- আচ্ছা, তা হলে গত পাঁচ বছরে?
--- না। ঝুম্পা বলেছিল।
--- গত আট বছরে?
--- উঁহু, না।
--- তা হলে বারো বছরে?
---  কোন সাল সেটা? কোন সাল! না... না... নাঃ।
--- গত কুড়ি বছরেও কি এত ভালবাসিনি কাউকে? সত্যি বলছ? আমাকে ছুঁয়ে আছে কিন্তু। মিথ্যে বললে আমি মরে যাব।
ঝুম্পা বলেছিল, সত্যি বলছি, বিশ্বাস করো। আমি কাউকেই তোমার মতো এত ভালবাসিনি।
গতকালের সেই কথা ভাবতে ভাবতে বানেশ্বরের চোখ বুজে এসেছিল। হঠাৎ হুড়মুড় করে কারা যেন চলন্ত ট্রেনে উঠে পড়ল। সবাই বুঝতে পারল, এরা কেউ ছিঁচকে চোর, ছিনতাইবাজ কিংবা ডাকাত নয়। এরা টেরোরিস্ট। উগ্রপন্থী। এই ট্রেনটাকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য এরা একেবারে তৈরি হয়ে এসেছে। যে কোনও সময় যা কিছু ঘটে যেতে পারে।
ও মুর্শিদাবাদে যাচ্ছে হাজারদুয়ারি দেখতে। এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না! তা হলে কি গতকাল ওর চোখে চোখ রেখে ঝুম্পা মিথ্যেকথা বলেছিল!

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯


                            অনুতাপের আগুন  
                        ডঃ রমলা মুখার্জী
  
   ড় কাল্পনিক আর উদার পরাগকে  রূপসার বড় ভালো লাগে।পড়াশোনায় বেশ ভালো,সবাইকে বেশ সহযোগিতাও করে।ইংরাজী অনার্সে ভালো ফল করে পরাগ ভর্তি হয়েছে এম.এতে।রূপসাও একই সংগে পড়ে।
     রূপসার ভালো লাগা ক্রমশই ভালোবাসায় পরিণত হল পরাগের সাথে কিছু অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশনের সময়ে।অসাধারণ আবৃত্তি করে পরাগ,রূপসা পরাগের প্রেমে একেবারে পাগল হয়ে উঠল।বড়লোকের খামখেয়ালী মেয়ে,তাই  পরাগ রূপসাকে এড়িয়ে চললেও শেষ পর্যন্ত রূপসার পাগলামিতে ধরা দিয়ে বসল।এম এতে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে,নেট পরীক্ষায় ভালো ফল করে পরাগ গবেষণা করতে শুরু করল।কিন্তু রূপসা আর ধৈর্য্য ধরতে পারল না,দুম করে একদিন পাকাপাকিভাবে চলে এল পরাগের কাছে।পরাগের গবেষণা শেষে অধ্যাপনা করার ইচ্ছে,আর তখনই বিয়ের কথা ভাবত।কিন্তু কি করবে,রূপসার বাড়িতে নাকি বিয়ের জন্য রোজই কোন না কোন পাত্রপক্ষ আসছে।একজায়গায় তো প্রায় ঠিকঠাক।মধ্যবিত্ত পরাগের সাথে বিয়ে রূপসার বাড়ি থেকে দেবে না।
    বিধবা মা রমাদেবীকে নিয়ে সুখের সংসার পরাগের। মায়ের পেনশন আর তার  ফেলোশিপের টাকায় ভালোভাবেই চলে যায়, প্রাচুর্য না থাক শান্তি তো আছে।কিন্তু রূপসা আসার কিছু মাস পর থেকেই সেই মহাশান্তির সংসারে জ্বলল অশান্তির আগুন।
   রূপসার দামী দামী পোশাক আর বিউটি পারলারের ঠেলায় পরাগ একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়ল।
রূপসারও ততদিনে মোহভঙ্গ হয়েছে,ধনী ব্যবসাদার অনলের সাথে ঘর বাঁধল রূপসা।
    পরাগ অধ্যাপক হয়েছে,তবুও বিয়ে করছে না।একটা কিসের প্রতীক্ষায় সে দিন গোনে। রমাদেবী বিয়ের কথা পাড়লেই পরাগ বড় রেগে যায়,এর কারণ কি কিছুই রমাদেবী বুঝে উঠতে পারেন না,তাই আর বেশি জোর করেন না।
     প্রবল শীতের এক ঝড়-বৃষ্টির  রাতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মত এসে হাজির হল রূপসা। সারা শরীরে ক্ষত,অনলের অত্যাচারের চিহ্ন।রমাদেবীর প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করেও পরাগ রূপসাকে ঠাঁই দিল।অনুতাপের আগুনে দগ্ধ রূপসা এখন খাঁটি সোনা।