মশান চক্রে আমি স্থির হন্যে ব্যাঘ্রের মতো অবশ হয়ে আছি নৃত্য-যোনির ভেতর দীর্ঘায়ু ফুটে বেরোচ্ছে আমার পদ্মকোষ আমার নাদের অন্তরালে পরিশ্রমের পাল্টা ল্যাকটিক আমি কখনও ছুঁইনি তাই জারিত বিশ্রাম মুক্তি নামের শাপ দিয়েছে ফলত বিদ্রোহী অন্ধকারের কুটো-চামড়া খুলে উড়ছে রাংতা পরতে পরতে ঝিমিয়ে আসছে কাব্যকল্পদ্রুম আর ধ্যানস্থ ধী আমার এক আদি-অস্ত্রাল সন্তান এত এত পাখি বলতে পারে যে সব মৎস্য উড়ে যায় মোক্ষ নামের অপরাধবোধ গিলে... নির্বাণ মানে শূন্য-বিজ্ঞান-মহাসুখ হওয়ায় আমি আবার ফিরে যাই শামুকের উৎসে দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রহ করি শম্বুক-খোল হাড়গোড়হীন সে এক যুগপৎ সুপ্তহত্যার হাত ধরে নিজেদের মূলাধার চেটে নিই অনির্বাণ ভরকেন্দ্রের দৌলতে যুদ্ধ ঘোষণা করি অনাক্রম্যতার সলতের নীল চোখে কর্ণিয়া রাখি রোজ দুহাতে চন্দ্রাহত শাকসবজি নিয়ে অগ্রন্থিত পুস্তকাদি সাজাই